আমাদের অনেকেরই হাটু এবং কনুই এ কালো দাগ রয়েছে। যা সাবান, লোশন এবং বিভিন্ন বিউটি সামগ্রি ব্যবহার করেও ঠিক হয় না।
এ নিয়ে আমরা অনেকেই দুশ্চিন্তা করে থাকি। অনেকে এর পেছনে হাজার হাজার টাকা এবং সময় নস্ট করেও সমাধান পায়না।
কিন্তু আমরা চাইলে খুব সহজেই এই দাগ গুলো দূর করতে পারি।
এজন্য আপনার অনেক বেশি টাকা খরচ করে দূর্ল্ভ সামগ্রী ব্যবহার করতে হবে না।
আপনার সাধ্যের মধ্যে এমনকি হাতের কাছেই কিছু সামগ্রী আছে যা ব্যাবহারে আপনার সমস্যা চিরতরে দূর হবে।
চলুন আর দেড়ি না করে আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ঘরোয়া ৫টি পদ্ধতি যার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার হাটু এবং কনুই এর কালো দাগ দূর হবে।
১. লেবুঃ
লেবুতে আছে প্রাকৃতিক ব্লিচিং এর উপাদান, যা ত্বকের যেকোনো কাল দাগ পরিস্কারে খুব সহজেই কাজ করে। নিয়মিত লেবুর রস কালো দাগের উপর ঘষলে এবং
১০ মিনিট রেখে তা হাল্কা গরম পানিতে ধুয়ে ফেললে আপনি খুব দ্রুত এর পার্থক্য বুঝতে পারবেন। মাত্র কয়েক সপ্তাহ এভাবে ব্যবহার করলে অনেক পুরোনো কালো দাগও চলে যাবে।
২. নারিকেল তেলঃ
নারিকেল তেল আমাদের ত্বককে নরম করতে খুবই কার্যকরী উপাদান। তবে সেটা হবে খাটি নারিকেল তেল। বাজারে প্রচুর ক্যামিকেল এর নারিকেল তেল পাওয়া যায়।
যা ব্যবহারে আপনার উপকারের চেয়ে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। খাটি নারিকেল তেল ত্বকের যেকনো কালো দাগের উপর ম্যাসাজ করুন এবং তা হাল্কা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এভাবে সপ্তাহ খানেক ব্যবহার করলে আপনি সহজেই কালো দাগ দূর করতে পারবেন।
৩. ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরাঃ
অ্যালোভেরা ত্বককে খুব সহজেই নমনীয় করে। অ্যালোভেরার ভেতর থেকে মাংসল জেলি বের করে তা কালো দাগের উপর ম্যাসাজ করুন এবং ২০ মিনিট রেখে দিন।
এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহারে দ্রুত কালো দাগ হাওয়া হয়ে যাবে। অ্যালোভেরার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারেও ভালো রেজাল্ট পাবেন।
৪. বেকিং সোডাঃ
বেকিং সোডা হাটু এবং কনুইয়ের কালো দাগ দূর করতে খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। দুধের সাথে বেকিং সোডা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। সেই পেস্ট কনুই এবং হাটুতে লাগান।
এভাবে নিয়মিত ব্যবহারে মাত্র দুই মাসে আপনার কালো দাগ দূর হয়ে যাবে। এটি খুবই কার্যকরী পদ্ধতি।
৫. দইঃ
টক দই ত্বকের কালো দাগ দূর করতে দারুন কাজ করে। কিন্তু অনেকেরই এই পদ্ধতি অজানা। টক দইয়ের সাথে হাল্কা ভিনেগার মিক্স করে এবং কিছুটা বেসন যুক্ত করে
ত্বকের কালো দাগের উপর নিয়মিত ব্যবহার করুন। ১৫ মিনিট পর হাল্কা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মাত্র কয়েক সপ্তাহ পর আপনি পার্থক্য বুঝতে পারবেন।